বিচ্ছেদের পরই এই ভুলটা বেশিরভাগ মানুষ করে বসেন। কিন্তু আপনি ভুলেও তা করবেন না। বিচ্ছেদের ব্যথা ভুলতে সুরার আশ্রয় নেবেন না। আর তার বশে বেসামাল যৌনতার ফাঁদে একদম পা দেবেন না। এতে দুঃখ বাড়ে বই এতটুকু কমে না। কারণ-
ক্ষণস্থায়ী– দু’পেগ পেটে পড়লে পৃথিবী সুন্দর হয় এ কথা সত্য। তবে তা ক্ষণিকের জন্যই হয়ে থাকে। হুঁশ ফিরলে দুঃখও ফিরে আসে দ্বিগুণ হয়ে। ভাল-মন্দ নিয়ে মন আরও বেশি দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে যায়।
আত্মবিশ্বাসের অভাব- আপনি কি ঠিক করলেন না ভুল করলেন? এই প্রশ্নই সবসময় ঘুরপাক খেতে থাকে মাথায়। কেবলমাত্র বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে বলেই কি আপনি নতুন মানুষটির সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হলেন? মদ্যপ না হলেও কি তাইই করতেন? উত্তর কিছুতেই খুঁজে পাবেন না।
অসুরক্ষিত– মদ্যপ অবস্থায় থাকলে এমনিতেই মানুষের হুঁশ থাকে না। ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কন্ডোম ছাড়া যৌনতায় লিপ্ত হয়ে যান অনেকে। এতে দু’জনেরই বিপদের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
বিপজ্জনক– কেবল যৌনরোগই নয়, অন্যান্য বিপদের সম্ভাবনাও থাকতে পারে। যে মানুষটির সঙ্গে আপনি যৌনতায় লিপ্ত হচ্ছেন তার কি কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা রয়েছে? সে কি আপনার নগ্ন ছবি কিংবা ভিডিও তুলে নিতে পারে না? তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে কী হতে পারে ভেবেছেন?
অবসাদ– মদ্যপ অবস্থায় যৌনতা অবসাদ আরও বাড়িয়ে দেয়। সঙ্গী অচেনা ব্যক্তি হলে উপরোক্ত সম্ভাবনাগুলি তো রয়েছেই পাশাপাশি চেনা সঙ্গী হলেও অযাচিত গর্ভধারণের সমস্যা থেকে যায়। এতে আপনি আরও অবসন্ন হয়ে পড়বেন।
আসক্তি– শুনতে আজব লাগলেও সত্যি। অনেক ক্ষেত্রেই মদ্যপ হয়ে অচেনা মানুষের সঙ্গে যৌন মিলন আসক্তির পর্যায়ে চলে যায়। এটাও কিন্তু একটা মানসিক রোগ। ক্ষণিকের শান্তি আপনাকে আরও বড় বিপদের মুখে ফেলে দিতে পারে।
তাই সাবধান হোন। মনে দুঃখ ভুলতে আরও অনেক পন্থা রয়েছে। সেগুলির মাধ্যমের অবসাদকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন। খুব বেশি সমস্যা হলে মনোবিদের পরামর্শ নিন। তবে মদের আশ্রয় কখনও নেবেন না।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।